১।
ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য সুদুর মক্কা শরীফ থেকে তত্কালীন ইসলামের খলিফা হযরত আব্দুল হক মাক্কী মাহাজীর (রঃ) খেলাফত প্রাপ্ত হয়ে পীরে কামেল হযরত মাওলানা ইসহাক (রঃ) বাংলাদেশে আসেন। ১৯৩৯ সালে তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর (দুধমুখা) ইউনিয়নে ইসহাকিয়া এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন। আধাত্মিক পীরে কামেল হযরত মাওলানা ইসহাক (রঃ) এর পদধূলি ও দোয়ার বরকতে এতিমখানা বাজার তথা ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন। অলীকুল শিরমনির দোয়ায় বর্তমানে এলাকায় উন্নতির সুবাতাস বইছে। ইসহাকিয়া এতিমখানায় দেড় শতাধিক এতিম ছাত্রের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, স্বাস্থ্য সেবা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এ অঞ্চলের ভক্ত আশেকানরা এই এতিমখানায় আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছেন। হযরত মাওলানা ইসহাক (রঃ) তার ওফাতের পর পীরজাদা হযরত মাওলানা আবদুল হক সাহেবকে গদীনশীল পীর সাহেব হিসাবে স্থলাভিসিক্ত করেন। তখন গদীনশীল পীর হযরত মাওলানা আবদুর হক সাহেব বৃহত্তর নোয়াখালীর আলেমদের সাথে নিয়ে সেনবাগের কাজিরখিলে আবদুল হক নগরী গড়ে তোলেন। তিনি সেখানে মসজিদ, বহু মাদ্রাসা ও অনাথ আশ্রম নির্মাণ করেন এবং সেখানে প্রতি বছর হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়। তার জীবদ্দশায় তিনি তার সুযোগ্য পুত্র দুধমখার বর্তমান গদীনশীল পীর হযরত মাওলানা লোকমান হোসাইনকে (রঃ) দায়িত্ব অর্পণ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত দুধমুখার বর্তমান গদীনশীল পীর হযরত মাওলানা লোকমান হোসাইন (রঃ) ইসলাম ও মানবতার সেবায় কাজ করছেন। তিনি দুধমুখার পৈতৃক বাড়ি ও আব্দুল হক নগরীর নতুন বাড়িতে প্রতি বছর হালকায়ে জিকির ও দোয়ার মাহফিল করে থাকেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকানরা উক্ত জিকির মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস